বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষায় রচিত প্রথম গ্রন্থ- বীরবলের হালখাতা।

ব্যাখ্যা বাংলা গদ্যে চলিতরীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী। তার প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বীরবলের হালখাতা’ বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষায় রচিত প্রথম গ্রন্থ।

অন্যদিকে ‘রায়তের কথা’ ও ‘তেল নুন কড়ি’ তার প্রবন্ধগ্রন্থ । ‘নারীর মূল্য’ –  শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় রচিত উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ।

তোহফা গ্রন্থটি আলাওল রচিত |

মধ্যযুগের আরাকান রাজসভার উল্লেখযোগ্য মুসলিম কবি আলাওল রচিত কাব্য ‘তোহফা’। তার আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ—পদ্মাবতী, সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল, হপ্তপয়কর, সিকান্দরনামা, রাগতালনামা।

অন্যদিকে ইউসুফ-জুলেখা’ ও ‘মধুমালতী’ কাব্য রচনা করেন যথাক্রমে শাহ মুহম্মদ সগীর ও মুহম্মদ কবীর। ‘নূরনামা’ নামে একাধারে কাব্য রচনা করেন আবদুল হাকিম, আবদুল করিম ও মীর মুহম্মদ শফী ।

‘ব্রজবুলি’ একটি-ভাষা |

বাংলা ও মৈথিলি ভাষার সংমিশ্রণে সৃষ্টি এক প্রকার কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা ব্রজবুলি। বৈষ্ণব পদাবলীর অধিকাংশ পদই রচিত হয়েছে এ ভাষায়। ব্রজবুলি কখনো মুখের ভাষা ছিল না, সাহিত্যকর্ম ব্যতীত অন্যত্র এর ব্যবহারও নেই। মিথিলার কবি বিদ্যাপতি এ ভাষার স্রষ্টা।

নেপাল

ব্যাখ্যা বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন বা গ্রন্থ হলো ‘চর্যাপদ’। ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার থেকে ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কার করেন এবং তার সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য
পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে তা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ‘চর্যাপদ’-এ ২৩ জন (মতান্তরে ২৪) পদকর্তা রয়েছেন। ‘চর্যাপদ’-এর প্রাচীনতম বা আদিকবি লুইপা এবং সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেন কাহ্নপা (১৩টি)।